এডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাঠান
জন্ম-মৃত্যু : ১৯৫০-২০১৯
এডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাঠান
হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডার
জন্ম ১৯৫০ ইংরেজী ৩০ শে জুন- ২৩ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
জন্ম ১৯৫০ ইংরেজী ৩০ শে জুন, পিতাঃ শহীদ তাহিদ হোসেন পাঠান, মাতাঃ মরহুমাঃ সুলতানা বেগম,কাটিয়ায়া প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ৫ম শ্রেণীতে বৃত্তি প্রাপ্ত, মাদাহরি লোকনাথ উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি, ব্রাবাড়িয়া কলেজ হতে বি.কম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি ডিগ্রী অর্জন,
১। মাধবপুর থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
২। স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক।
৩। ১৯৭১ মহান মৃক্তি যোদ্ধে যোগদান ভারতের দেরাদুন হতে সামরিক ট্রেনিং প্রাপ্ত, ৩নং সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ।
৪। মাধবপুর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।
৫। মাধবপুর ক্ষেতে পানি শ্যামল প্রকল্পে স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত।
৬। হবিগঞ্জ কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান।
৭। জাতীয় সমবায় ইউনিয়ানের ডাইরেকটার।
৮। সমবায়ী সতিসিহি হিসাব ভারত, শিউল, জাপান শফর।
৯। হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডার (২০১০-২০১৩) ২০১৪ হতে নির্বাচিত।
২ ছেলে ৩ কন্যা, উচ্চ শিািয় শিতি এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়েজিত।
সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সভাপতি, বিভিন্ন সমাজ সেবা মূলক কাজে নিয়েজিত,কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, শিা সহ-বিভিন্ন সংস্থায় সঙ্গে জড়িত, ওয়ার ফেক্ট ফাইনডিংস কমিটির অন্যতম সদস্য, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির হবিগঞ্জ জেলার সভাপতি। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ হবিগঞ্জ জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাঠান (৭০) ইন্তেকাল করেছেন।
২৩ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।মাধবপুর উপজেলা পাইলট স্কুল প্রাঙ্গণে জানাযার নামাজ শেষে মাধবপুরে পৌর এলাকায় তার পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
এডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাঠান দুই টার্মে নির্বাচিত সভাপতি হিসাবে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতির দায়িত্ব ১০ বছর যাবৎ পালন করেন। তিনি মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। আইনজীবী হিসাবে তিনি সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন। হবিগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি অতি আপনজন ছিলেন। যে কোন মুক্তিযোদ্ধার সমস্যায় সবার আগে এগিয়ে আসতেন। তার মৃত্যুতে জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে যান।